বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব MCQ Quiz in বাংলা - Objective Question with Answer for Famous Places - বিনামূল্যে ডাউনলোড করুন [PDF]

সঠিক উত্তর হল জয়সলমের দুর্গ।

Key Points 

• জয়সলমের দুর্গকে এর সোনালী-হলুদ বেলেপাথরের দেয়ালের কারণে সোনার কেল্লা বা সোনার দুর্গ নামেও পরিচিত।
• এটি ভারতের রাজস্থানের জয়সলমের শহরে অবস্থিত।
• 1156 খ্রিস্টাব্দে রাজপুত শাসক মহারাওয়াল জয়সাল সিংহ এই দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন।
• জয়সলমের দুর্গ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম দুর্গ এবং ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।

Additional Information 

• স্থাপত্য:
  • এই দুর্গ হলুদ বেলেপাথর দিয়ে নির্মিত, যা দিনের বেলায় তামাটে সিংহের রঙ ধারণ করে এবং সূর্যাস্তের সময় মধুর মতো সোনালী রঙে পরিণত হয়।
  • এতে ইসলামী এবং রাজপুত স্থাপত্য শৈলীর একটি অনন্য সমন্বয় দেখা যায়।
• উল্লেখযোগ্যতা:
  • জয়সলমের দুর্গ বেশ কিছু ঐতিহাসিক যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে এবং অনেক রাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি হিসেবে কাজ করেছে।
  • এতে বেশ কিছু প্রাসাদ, জৈন মন্দির এবং হাভেলি রয়েছে, যা রাজস্থানের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটায়।
• পর্যটন:
  • আজকাল, জয়সলমের দুর্গ একটি প্রধান পর্যটন আকর্ষণ, যা বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
  • এটি তার জটিল খোদাই, বিস্তারিত জালির কাজ এবং সুন্দর উঠোনের জন্য পরিচিত।
• সংরক্ষণ:
  • বছরের পর বছর ধরে ক্ষয় এবং অন্যান্য পরিবেশগত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দুর্গ সংরক্ষণের জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
  • এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন সংগঠন এবং সরকার সংরক্ষণ ও পুনঃস্থাপন প্রকল্পে জড়িত।

সঠিক উত্তর হল মধ্যপ্রদেশ।

Key Points

• বিখ্যাত 'খাজুরাহো' ভাস্কর্যগুলি মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত।
• খাজুরাহো হল ভারতের মধ্যপ্রদেশের ছত্রপুর জেলার একটি শহর। এটি বিশ্বব্যাপী এর অসাধারণ মন্দিরের দল এবং জটিল ভাস্কর্যের জন্য বিখ্যাত।
• খাজুরাহো মন্দিরের দল একটি UNESCO বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, যা এর ব্যতিক্রমী শিল্প ও স্থাপত্য গুরুত্বের জন্য স্বীকৃত।
• বেশিরভাগ খাজুরাহো মন্দির 950 এবং 1050 খ্রিস্টাব্দে চন্দেল রাজবংশ, রাজপুত শাসকদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, যারা মধ্য ভারতের এই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করেছিল।
• ঐতিহাসিক রেকর্ডগুলি বলে যে খাজুরাহো মন্দির স্থানটিতে মূলত প্রায় 85টি মন্দির ছিল, যা 20 বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিল। তবে, এই মন্দিরগুলির মধ্যে মাত্র প্রায় 25 টি সময় ও ইতিহাসের ধ্বংসাত্মক প্রভাব থেকে বেঁচে গেছে।
• বেঁচে থাকা মন্দিরগুলি প্রায় 6 বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে এবং তিনটি প্রধান কমপ্লেক্সে বিভক্ত: পশ্চিম গ্রুপ, পূর্ব গ্রুপ এবং দক্ষিণ গ্রুপ।
• মন্দিরগুলি হিন্দু দেবদেবী, শিব, বিষ্ণু এবং সূর্য সহ এবং জৈন তীর্থঙ্করদের উভয়েরই উৎসর্গীকৃত, ধর্মীয় সহনশীলতা এবং সহাবস্থানের সময়কে প্রতিফলিত করে।
• খাজুরাহো মন্দিরগুলির স্থাপত্য নগরা শৈলীতে, যা তাদের উঁচু শিখর (শিখর), জটিল খোদাই এবং উঁচু প্ল্যাটফর্ম (জগতি) দ্বারা চিহ্নিত।
• মন্দিরের দেয়ালে সজ্জিত ভাস্কর্যগুলি জীবনের বিভিন্ন দিকের বিস্তারিত চিত্রণের জন্য বিখ্যাত, যার মধ্যে দেবদেবী, পৌরাণিক প্রাণী, আকাশী প্রাণী (অপ্সরা এবং সুরসুন্দরী), দৈনন্দিন কাজে নিযুক্ত মানুষ এবং প্রেমিক দম্পতি অন্তর্ভুক্ত।
• খাজুরাহোর কামোত্তেজক ভাস্কর্যগুলি ব্যাপকভাবে পরিচিত এবং প্রায়শই হাইলাইট করা হয়, তবে এগুলি মোট খোদাইয়ের মাত্র একটি ছোট শতাংশ (প্রায় 10%) গঠন করে। বেশিরভাগ ভাস্কর্য ধর্মনিরপেক্ষ এবং ধর্মীয় থিম চিত্রিত করে।
• কিছু পণ্ডিত কামোত্তেজক ভাস্কর্যগুলি তান্ত্রিক যৌন অনুশীলনের প্রতিনিধিত্ব হিসাবে বা মহাজাগতিক সৃষ্টি এবং মিলনের প্রতীকী অভিব্যক্তি হিসাবে ব্যাখ্যা করেন। অন্যরা এগুলিকে সেই যুগের একটি উন্মুক্ত এবং গ্রহণযোগ্য জীবনের অংশ হিসাবে দেখেন, হিন্দুধর্মে মানব জীবনের চারটি উদ্দেশ্যের মধ্যে একটি হিসাবে 'কাম' ধারণাকে প্রতিফলিত করে।
• কান্ডারিয়া মহাদেব মন্দির হল খাজুরাহোর সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে অলংকৃত মন্দির, যা ভগবান শিবকে উৎসর্গীকৃত। এটি অসংখ্য শিখর এবং প্রচুর ভাস্কর্য সহ একটি চমৎকার কাঠামো।
• পশ্চিম গ্রুপের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য মন্দিরগুলির মধ্যে রয়েছে লক্ষ্মণ মন্দির, যা ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গীকৃত, এবং দেবী জগদম্বী মন্দির, যা প্রাথমিকভাবে বিষ্ণুকে উৎসর্গীকৃত ছিল কিন্তু পরে পার্বতী এবং কালীর সাথে যুক্ত।
• পূর্ব গ্রুপের মন্দিরগুলির মধ্যে পার্শ্বনাথ মন্দির এবং অদিনাথ মন্দিরের মতো জৈন মন্দির এবং বামন মন্দিরের মতো হিন্দু মন্দির রয়েছে।

সঠিক উত্তর হল কটক।

Key Points

• কেন্দ্রীয় ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান (CRRI) ওড়িশার কাটকে অবস্থিত।
• প্রতিষ্ঠানটি 23শে এপ্রিল, 1946 সালে ওড়িশার কাটকের বিদ্যধরপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
• ওড়িশা সরকার প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠার জন্য 60 হেক্টর পরীক্ষামূলক কৃষিভূমি প্রদান করেছিল।
• CRRI-এর প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ভারতে ধান চাষের সকল দিক নিয়ে গবেষণা তীব্র করা।
• খ্যাতনামা ধান উদ্ভাবক ডঃ কে. রামায়া কেন্দ্রীয় ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন।
• 1966 সালে CRRI-এর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদ (ICAR)-এর কাছে হস্তান্তরিত হয়।
• 2015 সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান (NRRI) নামে পরিচিত।
• NRRI ICAR-এর ফসল বিজ্ঞান বিভাগের অধীনে কাজ করে।
• প্রতিষ্ঠানটির দুটি আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে: ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে কেন্দ্রীয় বৃষ্টিপাত নির্ভর উচ্চভূমি ধান গবেষণা কেন্দ্র (CRURRS) এবং অসমের গেরুয়ায় আঞ্চলিক বৃষ্টিপাত নির্ভর নিম্নাঞ্চল ধান গবেষণা কেন্দ্র (RRLRRS)।
• এই আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলি বৃষ্টিপাত নির্ভর উচ্চভূমি এবং বন্যায় আক্রান্ত নিম্নাঞ্চলীয় বাস্তুতন্ত্রে ধান চাষের নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করে।
• NRRI-এর গবেষণা ধান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায়, যেমন ফসল উন্নয়ন, ফসল উৎপাদন এবং ফসল সুরক্ষা, কেন্দ্রীভূত।
• প্রতিষ্ঠানটি অসংখ্য উচ্চ ফলনশীল এবং রোগ প্রতিরোধী ধানের জাত উদ্ভাবন এবং প্রকাশ করেছে।
• NRRI-তে গবেষণাগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের ধানের উপর প্রভাব, পুষ্টি ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই কৃষি পদ্ধতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেও অন্তর্ভুক্ত।
• প্রতিষ্ঠানটি ভারতে ধান উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• NRRI ধান গবেষণা অগ্রসর করার জন্য অন্যান্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থার সাথে সহযোগিতা করে।
• কাটকের NRRI-এর ক্যাম্পাসে গবেষণাগার, পরীক্ষামূলক কৃষিভূমি, একটি লাইব্রেরি এবং বিজ্ঞানী ও কর্মীদের জন্য আবাসিক সুবিধা রয়েছে।
• NRRI-এর নির্দেশনায় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র (KVK) কৃষকদের কাছে কৃষি প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করে।
• প্রতিষ্ঠানটি কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য বেশ কয়েকটি পুরষ্কার পেয়েছে।
• NRRI ধান উৎপাদনে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করে ধান বিজ্ঞানে একটি অগ্রণী গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
• প্রতিষ্ঠানটির কাজ কোটি কোটি কৃষকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যারা ধান চাষের উপর নির্ভরশীল এবং জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও।

সঠিক উত্তর হল মহারাষ্ট্র।

Key Points

• অজন্তা গুহা ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে অবস্থিত।
• গুহাগুলি মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ জেলার অজন্তা গ্রামের কাছে অবস্থিত।
• গুহাগুলি ঔরঙ্গাবাদ শহর থেকে প্রায় 100 কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত।
• সহ্যাদ্রি পাহাড়ে অবস্থিত, গুহাগুলি ওয়াঘোরা নদীর ঘোড়ার নালের আকৃতির বাঁককে উপেক্ষা করে।
• এই নির্জন স্থান সেখানে বসবাসকারী বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য একটি শান্ত পরিবেশ প্রদান করেছিল।
• অজন্তা গুহাগুলি একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, যা তাদের অসাধারণ শিল্প ও ঐতিহাসিক মূল্যের জন্য স্বীকৃত।
• এই পাথর কেটে তৈরি গুহাগুলিতে প্রায় 30টি বৌদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে চৈত্য (প্রার্থনা কক্ষ) এবং বিহার (মঠ)।
• গুহাগুলি দুটি স্বতন্ত্র পর্যায়ে খনন করা হয়েছিল, যা খ্রিস্টপূর্ব 2য় শতাব্দী থেকে প্রায় 480 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিস্তৃত।
• সাতবাহন রাজবংশের সময়ের প্রাথমিক পর্যায়ে 9, 10, 12, 13 এবং 15A নম্বর গুহাগুলি অন্তর্ভুক্ত ছিল, প্রধানত হীনযান বৌদ্ধধর্ম।
• পরবর্তী পর্যায়ে, বাকাটক রাজবংশের সময়, বাকি গুহাগুলি অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা মহায়ান বৌদ্ধধর্মকে প্রতিফলিত করে।
• অজন্তা গুহাগুলি তাদের অতুলনীয় ভাস্কর্য এবং মূর্তির জন্য বিখ্যাত, যা বৌদ্ধ ধর্মীয় শিল্পের মাস্টারপিস হিসেবে বিবেচিত।
• এই শিল্পকর্মগুলি বুদ্ধের জীবন, জাতক কাহিনী (বুদ্ধের পূর্ব জীবনের গল্প) এবং বিভিন্ন বৌদ্ধ দেবতাকে চিত্রিত করে।
• চিত্রকর্মগুলি তাদের প্রাণবন্ত রঙ, অভিব্যক্তিপূর্ণ চিত্র এবং জটিল বিবরণের জন্য পরিচিত, যা উচ্চ স্তরের শিল্প দক্ষতা প্রদর্শন করে।
• গুহাগুলির স্থাপত্যও অসাধারণ, জটিল স্তম্ভ, খিলান এবং স্তূপ সহ বেসাল্ট শিলা দিয়ে খোদাই করা হয়েছে।
• চৈত্য হলগুলিতে ঘোড়ার নালের আকৃতির এপস এবং খিলানযুক্ত সিলিং রয়েছে, অন্যদিকে বিহারগুলিতে সন্ন্যাসীদের কক্ষ দ্বারা বেষ্টিত বর্গাকার হল রয়েছে।
• গুহাগুলি তাদের সৃষ্টির সময়কালে প্রাচীন ভারতের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক জীবনের মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।
• এগুলি 1819 সালে একজন ব্রিটিশ কর্মকর্তা দ্বারা একটি শিকার অভিযানের সময় দীর্ঘদিন ধরে উদ্ভিদ দ্বারা আচ্ছাদিত হওয়ার পরে আকস্মিকভাবে পুনঃ আবিষ্কৃত হয়েছিল।
• অজন্তা গুহাগুলি প্রাচীন ভারতীয় শিল্পী এবং অভিভাবকদের সৃজনশীলতা, কারুশিল্প এবং আধ্যাত্মিক ভক্তির প্রমাণ স্বরূপ।
• এগুলি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দর্শক এবং পণ্ডিতদের আকর্ষণ করে, ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক এবং শিল্প ঐতিহ্যের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হিসেবে কাজ করে।
• এই স্থানটি ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (ASI) এর যত্নে রয়েছে, যা এই অমূল্য স্মৃতিস্তম্ভগুলি সংরক্ষণ এবং অধ্যয়ন করার জন্য কাজ করে।
• অজন্তার শিল্প ভারত এবং এশিয়ার অন্যান্য অংশে পরবর্তী বৌদ্ধ শিল্প ঐতিহ্যকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে।
• অজন্তা গুহা পরিদর্শন একটি অসাধারণ প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রাচীন ভারতীয় শিল্প এবং স্থাপত্যের মহিমার সাক্ষী হওয়ার একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করে।

সঠিক উত্তর হল জয়পুর।

Key Points

• হাওয়া মহল রাজস্থানের জয়পুর-এ অবস্থিত একটি প্রাসাদ।
• মহারাজা সওয়াই প্রতাপ সিংহ 1799 সালে এটি নির্মাণ করেন।
• এই প্রাসাদটি লাল ও গোলাপী বালুকা পাথর দিয়ে তৈরি এবং শহর প্রাসাদের ধারে অবস্থিত।
• হাওয়া মহলকে বাতাসের প্রাসাদ হিসেবেও পরিচিত, কারণ এর 953 টি ছোটো জানালা আছে যাকে ঝরোখা বলা হয়।
• স্থাপত্য নকশা বাতাস চলাচলের অনুমতি দেয়, যা গরমের সময় এটিকে ঠান্ডা রাখে।

Additional Information

• জয়পুর:
  • জয়পুর রাজস্থানের রাজধানী শহর, যা গুলাপী শহর নামেও পরিচিত।
  • মহারাজা সওয়াই জয় সিংহ দ্বিতীয় 1727 সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
  • জয়পুর দিল্লি ও আগ্রার সাথে সোনালী ত্রিভুজ পর্যটন সার্কিটের অংশ।
  • এই শহরটি তার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং স্থাপত্য নিদর্শনগুলির জন্য পরিচিত।
• রাজস্থান:
  • রাজস্থান ভারতের আয়তনে সবচেয়ে বড় রাজ্য, দেশের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত।
  • এই রাজ্যটি এর মরুভূমি, প্রাসাদ এবং জমকালো উৎসবের জন্য বিখ্যাত।
  • প্রধান শহরগুলির মধ্যে রয়েছে জয়পুর, উদয়পুর, জোধপুর এবং বিকানের।
• মুঘল স্থাপত্য:
  • হাওয়া মহল মুঘল স্থাপত্যের উপাদান প্রদর্শন করে, যা এর জটিল জালের কাজ এবং অলংকৃত বিবরণের জন্য পরিচিত।
  • মুঘল স্থাপত্য ভারতের অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনাকে প্রভাবিত করেছে, ইসলামী, পারস্য এবং ভারতীয় শৈলীকে একত্রিত করে।
• সিটি প্যালেস:
  • সিটি প্যালেস জয়পুরে প্রাসাদের একটি জটিল, হাওয়া মহলের কাছে অবস্থিত।
  • সওয়াই জয় সিংহ দ্বিতীয় প্রাথমিকভাবে 1729 থেকে 1732 সালের মধ্যে এটি নির্মাণ করেন।
  • এতে চন্দ্র মহল এবং মুবারক মহল সহ অন্যান্য ভবন রয়েছে।

সঠিক উত্তর মাজুলি দ্বীপ।

• গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস মাজুলিকে বিশ্বের বৃহত্তম নদী দ্বীপ হিসাবে অভিহিত করেছে।
• সুন্দর নদীর দ্বীপটি আসামের ব্রহ্মপুত্র নদের উপরে অবস্থিত।
• এটি দক্ষিণে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা এবং উত্তরে সুবানসিরী নদীর সাথে মিলিত হয়ে ব্রাহ্মপুত্রের একটি আনাব্র্যাঞ্চ খেরকুটিয়া খুটি দ্বারা গঠিত।
• দ্বীপটি মাইজিং, দেউড়ি এবং সোনোয়াল কাচরি উপজাতি দ্বারা জনবহুল।
• দ্বীপের লোকেরা মাইজিং, অসমিয়া এবং দেওরি ভাষায় কথা বলে।
• এটি প্রায় 1,60,000 জন লোকের বাসস্থান এবং নব্য-বৈষ্ণব অসমীয়া সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল।
• এটি প্রায় 880 বর্গকিলোমিটার জমি জুড়ে অবস্থিত এবং আসামের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি।
• ব্রহ্মপুত্র নদের নিয়মিত বন্যার কারণে মাজুলিতে অনেক ক্ষয় হয়।
• অনুমান করা হয় যে ক্ষয়ের কারণে গত 30-40 বছরে এটি তার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চল হারিয়েছে।
• এটি সম্প্রতি একটি জেলা হিসাবে ঘোষিত হয়েছে এবং পূর্বে এটি জোড়হাট জেলার অধীন একটি মহকুমা ছিল।
• এটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অস্থায়ী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

মাজুলি দ্বীপ

সঠিক উত্তর হল ব্রাজিল

• ব্রাজিলকে বলা হয় 'বিশ্বের কফি বাটি'।

Additional Information

ভারতীয় শহরের ডাকনাম:

সঠিক উত্তর হল দেওঘর।

Key Points 

• দশাবতার মন্দির উত্তর ভারতের প্রাচীনতম পরিচিত মন্দিরগুলির মধ্যে একটি এবং এটি ভগবান বিষ্ণু-কে উৎসর্গ করা হয়েছে।
• দশাবতার মন্দির বা বিষ্ণু মন্দির, যা গুপ্ত মন্দির নামেও পরিচিত, দেওঘর-এ অবস্থিত।
• এটি গুপ্ত যুগে নির্মিত হয়েছিল।
• মন্দিরটি ভগবান বিষ্ণুর দশ অবতার চিত্রিত করে।
• মন্দিরে ভগবান বিষ্ণুর নারায়ণ তপস্যার অবস্থানে মূর্তি রয়েছে এবং আরেকটিতে তাঁকে সাপের উপর শায়িত অবস্থায় দেখানো হয়েছে।
• উত্তর ভারতে শিখরযুক্ত প্রথম মন্দির এটি ছিল।

সঠিক উত্তর কেরালা।

• কেরালা:
  • কেরালা ভারতের মশলার বাগান হিসাবে পরিচিত। কারণ এখানে বিভিন্ন ধরণের মশলা উৎপাদিত হয় যা সমগ্র বিশ্বে এর স্বাদের  জন্য় জনপ্রিয়।
  • পুরো রাজ্যে মশলা চাষের প্রধান জেলা ইদুক্কি এবং ওয়ানাড়।

• কাশ্মীর:
  • কাশ্মীর উদ্যানপালন এবং ফুলের চাষের জন্য বিখ্যাত।
  • বিশেষত কেশর চাষের জন্য, তাই এটি কেশরের শহর হিসাবে পরিচিত।
• অন্ধ্রপ্রদেশ:
  • অন্ধ্রপ্রদেশ ধান, তামাকের জন্য বিখ্যাত।
  • অন্ধ্রপ্রদেশ আমের (ভৌগোলিক সূচক) জন্যেও বিখ্যাত।
  • এটি ভারতের ধানের প্রধান উৎপাদনকারী হিসাবে "ভারতের ধানের বাটি" নামেও পরিচিত।
• পাঞ্জাব:
  • পাঞ্জাব অঞ্চল গম, ফলমূল এবং শাকসব্জী উৎপাদনের জন্য আদর্শ।
  • এটিই মূল কারণ যার জন্য় পাঞ্জাবকে "ভারতের শস্যাগার" বা "ভারতের রুটির ঝুড়ি" হিসাবেও উল্লেখ করা হয়।

সঠিক উত্তরটি বিকল্প 1 অর্থাৎ জৈনদের।

• সোনাগিরি মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের একটি জায়গা যা দাতিয়া জেলায় অবস্থিত ।
• এই স্থানটিতে নবম শতাব্দীর সময় থেকেই প্রচুর জৈন মন্দির স্থাপিত হয়েছে। 
• স্ব-শৃঙ্খলা, তপস্যা এবং মোক্ষ অর্জনের জন্য এই স্থানটি ভক্ত ও তপস্বী সাধুদের মধ্যে জনপ্রিয় ।
• সোনগিরিতে একটি বিখ্যাত জৈন জাদুঘরও অবস্থিত।
• জৈন ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, চন্দ্রপ্রভুর (অষ্টম  তীরথঙ্কর) সময় থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি তপস্বী সাধু এখানে মোক্ষ (মুক্তি) অর্জন করেছেন।
• পাহাড়ের উপরে 77টি  এবং গ্রামে 26 টি সহ মোট 103টি মন্দির রয়েছে।

সঠিক উত্তর সাসারাম।

• শেরশাহ সুরি বিহারের পাঠান ছিলেন যিনি মুঘল সাম্রাজ্যকে পরাজিত করার পরে সুরি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
• তাঁর স্মরণে মীর মুহাম্মদ আলীওয়াল খানের নকশাকৃত একটি সমাধিসৌধ বিহারের সাসারামে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি ইন্দো-ইসলামিক আর্কিটেকচারের উদাহরণ।

• কালিঞ্জরের দুর্গে বারুদ বিস্ফোরণে শেরশাহ সুরি মারা যান।
• কৃত্রিম হ্রদের মাঝখানে নির্মিত হওয়ায় শেরশাহ সুরির সমাধিটি ভারতের দ্বিতীয় তাজমহল হিসাবেও পরিচিত।

• দিল্লিতে, হুমায়ূনের সময় থেকে শুরু হয়ে শেরশাহ সুরির সময় পর্যন্ত পুরানা কিলা নির্মাণের কাজ চলেছিল।
• সুরির পুত্র, সেলিম শাহ সুরি দিল্লির সেলিমগড় দুর্গটি তৈরি করেছিলেন।
• মধ্য এশিয়া ও ভারতকে সংযুক্তকারী গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডটি শেরশাহ সুরি তৈরি করেছিলেন।

     বিহারের সাসারামে শেরশাহ সুরির সমাধি

সঠিক উত্তরটি হল তিরুবনন্তপুরম

• বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার ( VSSC) হল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) প্রধান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র, যা মূলত ভারতের উপগ্রহ কর্মসূচীর জন্য রকেট ও মহাকাশ যানের উপর আলোকপাত করে।
• এটি ভারতীয় রাজ্য কেরালার তিরুবনন্তপুরম-এ অবস্থিত।
• 1962 সালে থুম্বা নিরক্ষীয় রকেট নিক্ষেপণ কর্মকেন্দ্র (TERLS) হিসাবে এই কেন্দ্রটির সূত্রপাত হয়েছিল।
• এটির নতুন নামকরণ হয় ডঃ বিক্রম সারাভাই-এর  সম্মানে, যিনি ভারতীয় মহাকাশ কর্মসূচীর জনক হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন । 

• বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার-টি ISRO-র সমস্ত মহাকাশ কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি অন্যতম প্রধান গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র। 
• VSSC হল সম্পূর্ণরূপে একটি দেশীয় সংস্থা যা সাউন্ডিং রকেট, রোহিনী এবং মেনকা সহ, এবং SLV, ASLV, PSLV, GSLV, এবং GSLV Mk III প্রভৃতি গোত্রের উৎক্ষেপন যন্ত্রের উন্নয়নের উপর কাজ করে।

এখানে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রগুলির তালিকা দেওয়া হলঃ-

• স্কটল্যান্ডের মতোই সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের কারণে কুর্গ-কে ভারতের স্কটল্যান্ড বলা হয়।
• কুর্গ কর্ণাটকে অবস্থিত।
• এটি ভারতের বৃহত্তম কফি উৎপাদনকারী জেলাও।
• কুর্গের আরেক নাম কোডাগু।

দ্রষ্টব্য:

• শিলং "প্রাচ্যের স্কটল্যান্ড" নামে পরিচিত।

সঠিক উত্তর ডিমাপুর

Key Points

• কাছারি ধ্বংসাবশেষ বা দিমাসা কাছারি ধ্বংসাবশেষ নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর শহরে অবস্থিত।
• ধ্বংসাবশেষগুলি হল মাশরুম গম্বুজযুক্ত স্তম্ভগুলির একটি সিরিজ যা 13শ শতাব্দীতে আহোম আক্রমণের আগে শাসনকারী ডিমসা কাছারি রাজ্য দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল।
• স্তম্ভগুলির উদ্দেশ্য এবং উৎস রহস্যময়; স্তম্ভগুলির কয়েকটি সম্পূর্ণ গৌরবে দাঁড়িয়ে আছে এবং অন্যগুলি ভেঙে পড়েছে।
• এটাও বিশ্বাস করা হয় যে এখানে মাশরুম আকৃতির গুটি দিয়ে দাবার মতোই একটি খেলা খেলা হত।

সঠিক উত্তর হল সুরাট। 

• ভারতের ডায়মন্ড সিটি হল সুরাটের একটি জনপ্রিয় ডাকনাম। 
• এটি বলা হয় কারণ সুরাটে বিপুল সংখ্যক হীরা শিল্প অবস্থিত রয়েছে। 
• সুরাট তার টেক্সটাইল শিল্পের জন্যও বিখ্যাত। 
• বিশ্বের প্রায় 90% হীরার পলিশিং করা হয় সুরাটে। 
• সুরাট ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল শহরগুলির মধ্যে একটি।